দই মেলায় ২৫০ বছরের ঐতিহ্যের গল্প – Sirajganj Times

দই মেলায় ২৫০ বছরের ঐতিহ্যের গল্প

সারি ধরে সাজানো শতশত দইয়ের ভাঁড়। রকমারি স্বাদের, নাম ও আকারের দই সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। ক্ষীরসা দই, রাজাপুরের দই, টক দই, শ্রীপুরী দইসহ বাহানি নামের ডাকা হচ্ছে দইগুলোকে।

 

চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শ্রী পঞ্চমী তিথিতে বিদ্যার দেবী – – সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে এই দই মেলার আয়োজন। আড়াইশো বছরের প্রাচীর ঐতিহ্যকে ধারণ করে সোমবার তাড়াশের ইদগাহ মাঠজুড়ে দইয়ের পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারা। মেলায় দিনভর চলে দর-দাম আর বেচাকেনা।

জনশ্রুতি আছে, প্রায় দুইশ পঞ্চাশ বছর আগে তাড়াশে সর্ব প্রথম এই দই মেলার প্রচলন করেন তাড়াশের তৎকালীন জমিদার বনোয়ারি লাল রায় বাহাদুর। সে সময় থেকেই জমিদার বাড়ির সামনে রসিক লাল রায় মন্দিরের পার্শ্বের মাঠে সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে তিন দিন ধরে দই মেলা বসত। বর্তমানে মেলার সময় কমে দাঁড়িয়েছে এক দিনে।

 

কালের বিবর্তনে এই মেলা এখন স্থানীয়দের কাছে ঐহিহ্যে রূপ নিয়েছে। প্রতি বছর মাঘ মাসের শ্রীপঞ্চমী তিথিতে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে অঞ্চলটিতে।

তবে দুধ-চিনির চড়া মূল্যের প্রভাব পড়েছে দই মেলায়। বাড়তি ব্যয়ের কারণে কাঙ্ক্ষিত মুনাফা ও সন্তোষজনক দাম পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ক্রেতা-বিক্রেদের।

দই মেলা উপলক্ষ্যে আত্মীয়-স্বজনদের নিমন্ত্রণ করেন স্থানীয়রা। এরপর মেলা থেকে কেনা মিষ্টান্নে আপ্যায়ন করা হয় অতিথিদের।

 

দইয়ের সঙ্গে রসনাবিলাসী খই, চিড়া, মুড়ি, মুড়কি, বাতাসা, কদমা, মিষ্টিসহ বিভিন্ন মিষ্টান্নও বেচাকেনা হয় এই মেলায়।