সিরাজগঞ্জ শহরের সয়াগোবিন্দ (মিলন মোড়) ও দিয়ারধানগড়া (সর্দারপাড়া) মহল্লার মধ্যে মঙ্গলবার (১০ জুন) থেকে শুরু হওয়া বিরতিহীন সংঘর্ষ বুধবার (১১ জুন) সারাদিনজুড়ে চলেছে।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিস্ফোরণ এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে চরম আতঙ্ক। এ কারণে শহরের থানামোড়, মিলোন মোড়, চিড়ার মিল, পাসপোর্ট অফিস রোড, সিরাজি সড়ক ও পোস্ট অফিস মোড় এলাকার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও বুধবার সকাল থেকে আবারো সংঘর্ষ শুরু হয়। দুপুরের পর থেকে সংঘর্ষ আরও তীব্র আকার ধারণ করে, যেখানে দুই পক্ষের প্রায় হাজারাধিক মানুষ জড়ায়।
দুপুরে সয়াগোবিন্দ এলাকার বিপ্লব সরকারের ছয়তলা ভবনে প্রতিপক্ষ অগ্নিসংযোগ করে বলে অভিযোগ উঠে। সন্ধ্যায় পাল্টা হামলায় ওই এলাকার নুরুল ইসলাম মুন্সীর চারতলা ভবনে পেট্রোল বোমা ছোঁড়া হয়। এতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, যা স্থানীয়দের সহায়তায় নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, সংঘর্ষ থেকে আগুন লাগার তথ্য পাওয়া গেলেও নিরাপত্তার অভাবে সময়মতো ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পাঠানো সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়দের ভাস্য ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জানা যায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনাতে কাজ করছে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। অরাজকতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল অব্যহত রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পায়নি প্রতিবেদক। তবে এই ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি বলে জানা গেছে।
এদিকে দুই মহল্লার সংঘর্ষে সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না স্থানীয়রা। তারা বলছেন, এমন সংঘর্ষের ঘটনায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন এলাকাবাসী।
সিরাজগঞ্জ টাইমস/সিই/