সিরাজগঞ্জ শহরের সর্দারপাড়া ও ভাঙ্গাবাড়ি মহল্লার মধ্যে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিরতিহীন সংঘর্ষ চলছে। ব্যক্তিগত আক্রমণকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এই উত্তেজনা ফের শুরু হয় রোববারও। এতে পুরো এলাকায় তীব্র আতঙ্ক বিরাজ করছে, দুর্ভোগে পড়েছে শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ।
শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে সদর থানা মোড় থেকে পাসপোর্ট অফিস সড়ক এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ইটপাটকেল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে দুই এলাকার লোকজন ঘণ্টাব্যাপী মুখোমুখি অবস্থানে থাকে। থেমে থেমে বিষ্ফরোণের আওয়াজ শোনা যায় বলে জানানয় স্থানীয়রা । খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

রোববার পাসপোর্ট অফিস রোডে সংঘর্ষ
পরদিন শনিবার সকালেই পুনরায় পাসপোর্ট অফিস সড়কে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে বেলা ১২টার দিকে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে থানারোড সংলগ্ন আব্দুল মান্নান রোডে। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলে তীব্র ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সুপার ও সদর সার্কেলের নেতৃত্বে কয়েকশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মাঠে নামতে হয়। সংঘর্ষ থেমে গেলেও আব্দুল মান্নান রোডে কয়েক ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে।

স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ
রোববার সকাল ১১টার দিকে আবারো পাসপোর্ট অফিস রোডে সংঘর্ষ শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা ছড়িয়ে পড়ে থানারোডের পাশের আব্দুল মান্নান রোডে। অফিস সময় ও পরীক্ষার দিনে সংঘর্ষ হওয়ায় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, রোগী ও সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ে। এদিনও ব্যপন বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায় সংগর্ষপূর্ণ একায়। এদিন পাসপোর্ট অফিস রোডের একটি স্থাপনায় অগ্নি সংযোগও করা হয়।
তিন দিনের ধারাবাহিক সংঘর্ষে সর্দারপাড়া, ভাঙ্গাবাড়ি, চিড়ার মিল, থানারোড, পাসপোর্ট অফিস রোডসহ আশপাশের এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকেই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসার বাইরে বের হচ্ছেন না বলেও জানা গেছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।”
সিরাজগঞ্জ টাইমস/সিই







