সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা থানাধীন নলকা ইউনিয়নের এরান্দহ গ্রামে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার পর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক রাজমিস্ত্রি। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ভোররাতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর নাম রোজিনা খাতুন (২৪)। তিনি এরান্দহ গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে। অভিযুক্ত ও আহত স্বামীর নাম মোতালেব হোসেন (৩৪)। তিনি একই উপজেলার বাসিন্দা এবং পেশায় রাজমিস্ত্রি।
স্থানীয়রা জানায়, তিন বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেন রোজিনা ও মোতালেব। রোজিনার পরিবার এ বিয়ে মেনে নিলেও মোতালেবের পরিবার মেনে নেয়নি। সে কারণে মোতালেব শ্বশুরবাড়িতেই স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন। ছয় দিন আগে ফেনী জেলা থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফেরেন মোতালেব। এরপর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল।
নিহতার চাচাতো ভাই জাহিদ হাসান জানান, রাত আড়াইটার দিকে রোজিনার ভাতিজা বায়জিদ কান্নাকাটি শুনে জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখতে পান, বিছানায় রোজিনার রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে, পাশে মোতালেবও গলাকাটা অবস্থায় কাতরাচ্ছেন। চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে রোজিনার লাশ উদ্ধার করেন এবং মোতালেবকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে এবং পরে বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিহত রোজিনার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের বাবা আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে অভিযুক্ত মোতালেবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।”
এ ঘটনায় এলাকায় শোক ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে এরান্দহ গ্রামের আকাশ-বাতাস।







