যমুনা নদীর ভয়াল ভাঙনে আবারও ঘরছাড়া হচ্ছেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা। বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে গত কয়েক সপ্তাহে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙনে বিলীন হয়েছে ফসলি জমি, বসতঘর, রাস্তা ও গাছপালা। নদীপাড়ের মানুষের মাঝে বিরাজ করছে তীব্র আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা।
স্থানীয় নূর হোসেন (৭০) জানান, “শৈশব থেকে যমুনার ভাঙন দেখছি। বহুবার ঘর বদল করেছি। প্রতিবারই শুধু আশ্বাস, কিন্তু কোনো স্থায়ী সমাধান হয়নি।”
এদিকে ভাঙনের মুখে পড়েছে স্থানীয় স্কুল, মসজিদ ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোও। অনেক পরিবার বাধ্য হয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে।
একজন নারী বাসিন্দা বলেন, “এক একর জমি ছিল, সব নদী খেয়ে ফেলেছে। এখন মাথা গোঁজার জায়গা নেই।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবছর নদীভাঙন ঠেকাতে কেবল মাটি-পাথরের সাময়িক বাঁধ তৈরি করা হলেও স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তারা চান দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই নদী রক্ষা প্রকল্প।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান বলেন, “ভাঙন রোধে বালিভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রক্রিয়া চলমান আছে।”
এদিকে ভাঙনপ্রবণ এলাকার মানুষ বলছে, জনপ্রতিনিধি বদলায়, সরকারের মেয়াদ বদলায়—কিন্তু যমুনা পাড়ের ভাগ্য বদলায় না। প্রতি বর্ষায় যমুনার তাণ্ডবে হারাতে হয় মাথা গোঁজার ঠাঁই, জীবনের পুঁজি আর ভবিষ্যতের স্বপ্ন।
সিরাজগঞ্জ টাইমস/এসএস/সিই







