ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জ জেলায় প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ৬ লাখ কোরবানির পশু। শেষ মুহূর্তে পশুগুলোর বাড়তি যত্নে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার ছোট-বড় খামারিরা। খামারগুলোতে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য। দেশীয় পদ্ধতিতে পশু মোটাতাজাকরণে জোর দিচ্ছেন খামারিরা।
খামারিরা জানান, কৃত্রিম পদ্ধতি না অনুসরণ করে তারা প্রাকৃতিক খাদ্য যেমন—কাঁচা ঘাস, ভুষি, খৈল ও খড় ইত্যাদির মাধ্যমে গরু মোটাতাজা করছেন। পাশাপাশি পশুর স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে নিয়মিত চিকিৎসা, পরিচ্ছন্নতা এবং পুষ্টিকর খাদ্যের ব্যবস্থাও নিশ্চিত করা হচ্ছে।
তবে খামারিরা বলছেন, গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। এর ওপর চোরাইপথে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে গরু এলে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। চোরাই পথে গরু আমদানির বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখার আহ্বান তাদের।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ কে এম আনোয়ারুল হক জানান, জেলার ৯টি উপজেলায় ঈদ উপলক্ষে প্রস্তুত করা হয়েছে মোট ৫ লাখ ৯০ হাজারের বেশি পশু। এর মধ্যে গরু রয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮০০টি, ছাগল প্রায় ৪ লাখ, মহিষ ৩ হাজার ৮৭৫টি এবং ভেড়া ৬৭ হাজার ৩০৩টি।
তিনি আরও বলেন, জেলার অভ্যন্তরীণ কোরবানির পশুর চাহিদা প্রায় ২ লাখ ৫৯ হাজার। বাকি গবাদিপশু দেশের অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা হবে।
খামারিরা বলছেন, ভালো দাম পেলে সারা বছরের কষ্ট কিছুটা সার্থক হবে। তবে চোরাচালানের বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকলে হতাশায় পড়বেন তারা।







