সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার জোতপাড়া-জনতা স্কুল সড়কের এক কিলোমিটার নির্মাণ কাজ প্রায় দুই বছরেও শেষ হয়নি। ধীরগতির কাজ, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ও কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয়রা।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে উপজেলার জোতপাড়া থেকে জনতা স্কুল পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ২৭০ মিটার সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়। পাবনা-বগুড়া প্রকল্পের আওতায় এক কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটি পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মীর এন্টারপ্রাইজ।
স্থানীয়রা জানান, প্রথমে রাস্তা খুঁড়ে মাসের পর মাস ফেলে রাখা হয়। এরপর নিম্নমানের খোয়া ফেলে রোলার না দিয়েই আবারও ফেলে রাখা হয়। এতে বর্ষার সময় কাদায় হাঁটুসমান পানি জমে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। বর্তমানে সড়কটির অধিকাংশ জায়গা অসমান হয়ে পড়েছে, আর যেখানে খোয়া ফেলা হয়েছিল তা নষ্ট হয়ে গেছে।

চৌহালী উপজেলার অন্তত পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ কয়েক গ্রামের মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। স্থানীয় নুর ইসলাম, সাইফুল ইসলাম ও ভ্যানচালক বাবলু হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাস্তা কেটে মাসের পর মাস ফেলে রাখা হয়। এখনো ঠিকভাবে কাজ হচ্ছে না। যে মানের কাজ করা হচ্ছে, তাতে রাস্তাটির টেকসই নিয়েও সন্দেহ আছে।
উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, মেয়াদ শেষ হলেও এখনো ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি ৫৫ শতাংশ বিল উত্তোলন করেছে।

চৌহালী উপজেলা এলজিইডির সার্ভেয়ার মশিউর রহমান মামুন বলেন, “বৃষ্টি ও অন্যান্য কারণে কাজ কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। বিটুমিন সরবরাহ পেলে কাপেটিংয়ের কাজ দ্রুত শুরু হবে।”
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মীর এন্টারপ্রাইজের মালিক মীর সেরাজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তার এক প্রতিনিধি জানান, “কাজের দেখভাল করছেন কুরমান নামের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি।”
সিরাজগঞ্জ টাইমস/আইএইচএ/সিই







