সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার খালকুলা বাজারে একটি হোটেল ও দোকানে ভাঙচুরের অভিযোগে তিন শিক্ষার্থীকে আটক করে পরে জরিমানা করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। শনিবার (১ লা মার্চ) সকালে নাটোর-বনপাড়া মহাসড়কের তাড়াশ অংশে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল কাদের।
আটক শিক্ষার্থীরা হলেন—নাটোর সদর উপজেলার লালমনিপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম (২৫), মল্লিকহাটি গ্রামের আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৫) এবং উপর বাজার এলাকার রেজা রাব্বানী হাবিব (২৪)।
ভুক্তভোগী ‘আশা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট’ মালিক আলী আশরাফ জানান, শুক্রবার দুপুরে ঢাকায় নতুন একটি দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে নাটোর থেকে আসা কয়েকটি বাস হোটেলের সামনে থামে। কেক কেনাকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার সমন্বয়কদের সঙ্গে দোকানের কর্মচারীদের তর্ক-বিতর্ক হয়। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি মীমাংসা হলেও পরদিন শনিবার সকালে ফেরার পথে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে হোটেলে প্রবেশ করে এবং ভাঙচুর চালায়।
হোটেল মালিকের অভিযোগ, ভাঙচুরের সময় বাধা দিলে শিক্ষার্থীরা তাকে ও কর্মচারীকে মারধর করে। স্থানীয়দের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তিনজনকে আটক করে এবং পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল কাদের জানান, উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং ভাঙচুরের ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাদের সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও সমঝোতা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।