কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শাহজাদপুরের সেই কাছারিবাড়িতে যেন বসন্ত নেমেছে নতুন রূপে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সেজেছে এই ঐতিহ্যবাহী প্রাঙ্গণ। আলোকসজ্জা, রঙ আর সুরের ছোঁয়ায় চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে রবীন্দ্র-আবেশ।
তিন দিনব্যাপী (৮-১০ মে) অনুষ্ঠিতব্য জন্মোৎসব উপলক্ষে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন আয়োজক, শিল্পী ও কলাকুশলীরা। কাছারিবাড়ির পরতে পরতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে রবীন্দ্রসৃষ্টির আবহ।
শিল্পীরা বলছেন, এ আয়োজন শুধুই আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি কবিগুরুর প্রতি ভালোবাসা ও চেতনার প্রকাশ। শিশুদের নৃত্য, আবৃত্তি ও গানের মধ্য দিয়ে জীবন্ত হয়ে উঠছে “ছুটি”, “পোস্টমাস্টার” কিংবা “সোনার তরী”র মতো কালজয়ী সৃষ্টি।
ঐতিহাসিক এই কাছারিবাড়িই ছিল সেই আশ্রয়, যেখানে কবির কলমে ফুটে উঠেছিল নদী, পল্লী, প্রেম ও প্রকৃতির রূপ। এখানে এখনো সংরক্ষিত রয়েছে কবির ব্যবহৃত খাট, টেবিল, কাঠের বারান্দাসহ নানা স্মৃতিচিহ্ন, যা দর্শনার্থীদের মনে জাগিয়ে তোলে আবেগময় অনুভব।
নৃত্যপরিচালকরা জানান, শিশু-কিশোরদের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্র-সাহিত্যের চর্চা আরও ছড়িয়ে দেওয়াই তাদের উদ্দেশ্য। উৎসবকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও দর্শনার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করার সবধরনের প্রস্তুতি।
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানান, “প্রতিবছরের মতো এবারও উৎসবকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে সকল ধরনের প্রস্তুতি। এটি শুধুই একটি জন্মোৎসব নয়, এটি বাঙালির হৃদয়ের উৎসব।”
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিসম্ভার, স্মৃতি ও স্পর্শ ঘিরে তিন দিনের এই মিলনমেলা একদিকে যেমন সাংস্কৃতিক চর্চার ক্ষেত্র তৈরি করছে, অন্যদিকে তেমনি নতুন প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে শিল্প-সাহিত্যের শেকড়ের সঙ্গে।
সিরাজগঞ্জ টাইমস/এনকেআর/সিই









